দেশের বাইরে ডেস্ক :পালানোর ৩৭ দিন পর ভারতের আলোচিত খালিস্তানি নেতা উগ্র শিখ প্রচারক অমৃতপাল সিং পাঞ্জাব মোগা পুলিশের কাছে আত্মসর্মপণ করেছেন। রবিবার (২৩ এপ্রিল) আত্মসর্মপণের সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গত ১৮ মার্চ থেকে পলাতক ছিলেন তিনি। তাকে ধরতে গত মার্চে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয় পাঞ্জাবে।
অমৃতপালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতির মধ্যে বৈষম্য ছড়ানো, খুনের চেষ্টা, পুলিশকে আক্রমণ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। কয়েকটি সূত্রের দাবি, রোববার ভোরে মোগা শহরের একটি গুরুদ্বারের সামনে অমৃতপাল নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে গ্রেফতার করে অমৃতসরে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনদিন আগেই অমৃতসর বিমানবন্দর থেকে অমৃতপালের স্ত্রী কিরণদীপকে আটক করেছিল পুলিশ। তিনি লন্ডনে যাচ্ছিলেন। জানা গেছে, অমৃতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখনো আটক রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে অমৃতপাল সিং ইস্যুতে পাঞ্জাব পুলিশের প্রশংসা করে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি দাবি করেছিলেন, যেকোনো সময় ধরা পড়তে পারেন অমৃতপাল সিং।
এর আগে অমৃতপাল সিংকে গ্রেফতারে নানা অভিযান চালিয়েছিল পাঞ্জাব পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় অমৃতপালকে দেখা গেছে, এমন খবর গণমাধ্যমে প্রচারিত হলেও তাকে ধরতে পারছিল না পুলিশ। অবশেষে গা ঢাকা দেওয়ার ৩৬ দিন পর গ্রেফতার হলেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, অমৃতপাল সিংকে আসামের দিব্রুগড়ে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে তার আট সহযোগীকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আটক করা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, অনাবাসী ভারতীয় অমৃতপাল সিং দুবাইতে ট্রাকচালক হিসেবে কাজ করতেন। সেখান থেকেই পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) এজেন্ট হিসেবে তাকে নিয়োগ করা হয়েছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকার সময়ই তিনি আইএসআইয়ের সংস্পর্শে এসেছিলেন।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবি, নিজের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করছেন অমৃতপাল সিং। সেই সঙ্গে তিনি পাঞ্জাবকে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভাগ করার চেষ্টা করছেন।
সূত্র: এনডিটিভি