প্রতিনিধি, রংপুর : রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) ২২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৫টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭শত ৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮শত ৯২ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লতিফুর রহমান মিলন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৮৩ এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ৩ শত ৬ ভোট পেয়েছেন। আর ভোট পড়েছে ৬৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
এবারই প্রথম সকল কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) এর তৃতীয় বারের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কোনরকম বিশৃংখলা ছাড়াই সম্পন্ন হলো। সকাল ৮টা হতে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট চলে বিরতিহীনভাবে। কিন্তু ইভিএম সম্পর্কে অজ্ঞাত-অদক্ষ ভোটারদের ভোট দিতে গিয়ে পোহাতে হয়েছে চরম ভোগান্তি।
নির্ধারিত সময় পাড় হয়ে রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোট দিতে দেখাগেছে। কারন হিসেবে প্রিসাইডিং অফিসাররা বলেছেন, ইভিএম এ অনেকের হাতের আঙ্গুলের ছাপ বনিবনা না হওয়া ধীর গতিতে ভোটিং মেশিন কাজ করাসহ ভোটারদের অভ্যাস না থাকাই প্রধান কারন।
বিশেষ করে বয়স্ক নারী পুরুষদের ক্ষেত্রে ও অশিক্ষিত, ইভিএম অজ্ঞাতদের ভোট দিতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। যদিও ভোটারদের অনেকেই বলেছেন, আমরা সময়মত ভোট কেন্দ্রে আসলেও একেকটা ভোট দিতে প্রায় ১০ থেকে ৩০ মিনিটও লেগেছে। কারন মেশিন ধীরে কাজ করে তাই।
তবে, ইভিএম এর কোনো সমস্যা দেখা দেয়া মাত্রই খবর করা হয় এক্সপাটদের। এক্সপাটরা তাৎক্ষনিক সেই কেন্দ্রে পৌছে সমাধানও করে দেন।
এ ব্যাপারে ইভিএম এক্সপার্ট মাহবুবুল আলম বলেন, বাস্তবতায় মক ভোটিং ট্রেনিং হলেও তা মনে রাখতে পারেনি অধিকাংশ ভোটার। ইভিএম অদক্ষ ভোটারের কারনেই ভোট নিতে সময় লেগেছে বেশি।
এছাড়া মেশিণের কোন সমস্যা নাই। ভোটাররা বলেছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেছেন এই রকম বিড়ম্বনায় ইতিপূর্বে কোনো ভোট দিতে এসে পড়তে হয়নি। কোনো কোনো ভোটার লাইনে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে ২/৩ঘন্টাও অতিক্রম করে পরে ফেরতও গেছেন। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ায় লাইনে দাড়িয়ে থাকার এক পর্যায়ে বসেও পড়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে এছাড়া অধিকাংশ সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের ও সাধারণ কাউন্সিলারের ফলাফল বেসরকারীভাবে ঘোষনা করা হলেও এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত বেশ ক’ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরের ঘোষনা জটিলতা রয়েছে মর্মে রিচেক চলছে বলেও জানান রিটানিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন ও সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য-রংপুর সিটি কর্পোরেশন এ নির্বাচন উপলক্ষে গত ২৬ তারিখ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নির্বাচনী সরঞ্জান বিতরণ করেন। একই দিনে রাত ১২টা হতে ৩ স্তরের নিরাপত্তা বেস্টনীতে ঘিরে নেয় রংপুর মহানগর এরিয়াসহ গুরত্বপূর্ণ এলাকা।কাজ শুরু র্যাব, নগর পুলিশ, জেলা পুলিশ, বিজিবি, আনসার, এপিবিএন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট,রংপুর মহানগর ট্রাফিকবিভাগসহ সাদা পোষাকের
গোয়েন্দা বাহিনী।
শুনশান নগরীতে পরিণত হয়ে পড়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকা ভোট কেন্দ্রেগুলোর মধ্যে ৮৬টি অতি ঝুকিপূর্ণ থাকায় সেগুলোতে টহল বাড়িয়ে নিরাপদ রাখে আইন শৃংখলা বাহিনী।ফলে চোট ছোট ঘটনা ছাড়া বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি।