নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা প্রতিদিন: করোনার প্রাদুর্ভাব ও বন্যার কারণে এ বছর নির্ধারিত সময়ের সাত মাস পরে আগামী ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এতে অংশ নেবে ৯ হাজার ১৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ পরীক্ষার্থী। ২ হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে। গত বছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৮৩ জন।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পরীক্ষা উপলক্ষে আগামী ৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে প্রত্যেক বিষয়ে পরীক্ষা হবে ২ ঘণ্টায়। রচনামূলক অংশ ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ও নৈর্ব্যক্তিক অংশের পরীক্ষা হবে ২০ মিনিট। বিজ্ঞান বিভাগে ব্যবহারিকসহ বিষয়গুলোতে পরীক্ষার্থীদের প্রতি পত্রে ৪৫ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এরমধ্যে রচনামূলকে ৩০ নম্বর ও নৈর্ব্যক্তিক থাকবে ১৫ নম্বর। আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ব্যবহারিক ছাড়া বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রতিপত্রে ৫৫ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এরমধ্যে ৪০ নম্বর রচনামূলক পরীক্ষা ও ১৫ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা হবে। তবে বাংলা দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরের।
এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয়ের তত্ত্বীয় অংশে ৮টি প্রশ্ন থাকবে, যার মধ্য থেকে ৩টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ও নৈর্ব্যক্তিক অংশে ২৫টি প্রশ্ন থেকে ১৫টির উত্তর দিতে হবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয়ের তত্ত্বীয় অংশে ১১টি প্রশ্ন থাকবে, যার মধ্য থেকে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এ দুই বিভাগের পরীক্ষার্থীদের নৈর্ব্যক্তিক অংশে ৩০টি প্রশ্ন থেকে ১৫টির উত্তর দিতে হবে।
এবার পরীক্ষার্থী কমার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৬৬ হাজার। গত বছর তা ছিল ১ লাখ ১৪ হাজারের মতো, আর এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৩১৩ জন। মূলত অনিয়মিত পরীক্ষার্থী কমায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।’