নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকার সাথে রাত্রি যাপন কালে মেহেদী হাসান মুন্না (২৫) নামের অনার্স পড়ুয়া এক ছাত্রকে আটক করে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খুবজীপুর ইনিয়নের বিলশা গ্রামে। ওই রাতেই ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ মার্চ রাত ৮ টার দিকে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের বিলশা গ্রাম থেকে মামলার বাদী লাবলু মন্ডলের শয়ন ঘর থেকে প্রেমিক মুন্নাকে আটক করে স্থানীয়রা। এসময় থানা পুলিশে খবর দিলে গুরুদাসপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর রিপন কুমার সাহা সংগীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রেমিক মুন্নাকে থানায় নিয়ে আসে।
মামলার বাদী লাবলু মন্ডল জানান, প্রায় ৬ বছর যাবত ওই যুবকের সঙ্গে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একাধিকবার নিষেধ করা সত্বেও মুন্না বিভিন্ন ভাবে তার মেয়েকে হয়রানি করতে থাকে। পরে তাদের মধ্যে গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গতকাল রাতে আমরা স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার শয়ন ঘড়ে প্রবেশ করে রাত্রি যাপন করতে থাকে মুন্না। ঘটনাটি প্রতিবেশীরা জানতে পেরে মুন্নাকে আটক করে আমাদেরকে জানালে আমরা বাড়ি এসে বিষয়টি থানায় অবগত করি।
খুবজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল ইসলাম দোলন জানান, মেহেদী হাসান মুন্না ও ওই ছাত্রী স্থানীয় বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজে অনার্সের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্কের কথা শুনেছেন তিনি। গতরাতের বিষয়টি পরিষদের ৩ জন সদস্যকে পাঠিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। এলাকার জনগনের স্বার্থে ন্যায় বিচার আশা করছি।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল মতিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় উপজেলার বিলশা গ্রামের মোঃ আজিজল হকের ছেলে মেহেদী হাসান মুন্নকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় আটক করে শুক্রবার (১১ মার্চ) দুপুরে আসামি মুন্না আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে