বাহিরের দেশ ডেস্ক: শেষবেলায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনা পরিস্থিতির জন্য ‘ওয়ার্ক ভিসা’ এবং ‘ইমিগ্রান্ট ভিসা’-সহ বেশ কিছু ভিসার কাজ ৩ মাস স্থগিত রাখার নির্দেশ দিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার তিনি এই দুটি অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছেন, যার ফলে অনেক গ্রিনকার্ড আবেদনকারী এবং অস্থায়ী বিদেশি কর্মীরা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই সমস্ত ভিসা-সংক্রান্ত সব কাজ বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে সেই মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়ে ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন, মহামারিকালীন অর্থনীতি পরিস্থিতিতে মার্কিন কর্মীদের রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। তবে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন কি না সে বিষয়ে তিনি এখনও কিছু বলেননি।
গতকাল শুক্রবার রয়টার্স ও এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, করোনার জন্য জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কাজের পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়েছে, বেকারত্ব বেড়েছে। শুধু তাই নয়, এই মহামারির ব্যাপক প্রভাব পড়েছে শ্রমিক বাজার এবং দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয়। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি হারিয়ে বর্তমানে বেকারভাতা নিচ্ছেন প্রায় দুই কোটি মানুষ। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এপ্রিল ও জুন মাসে জারি করা অভিবাসন-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞাগুলোর মেয়াদ শেষ হয় ৩১ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার তা এবার এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হলো। এটি বিদায়ী ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত। অবশ্য বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদেশি কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে। সদ্যজয়ী প্রেসিডেন্ট জো বিডেন ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তিনি ট্রাম্পের এ বিধিনিষেধ আরোপের সমালোচনা করেছেন, তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেবেন কি-না তা এখনও বলেননি। ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞাগুলো জারি করেছেন, যা চাইলে দ্রুত বাতিল করা যেতে পারে। অক্টোবরে ক্যালিফোর্নিয়ায় এক ফেডারেল বিচারক বিদেশি অতিথি কর্মীদের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেন। ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লাখো ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যাওয়ায় তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সিদ্ধান্তটির বিরুদ্ধে ৯তম মার্কিন সার্কিট কোর্টে আপিল করেছে, আগামী ১৯ জানুয়ারি এটির যুক্তিতর্কের জন্য শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
Saturday , 2 January 2021 | [bangla_date]
