নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার এই দেশের মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তা দিয়েছে। বর্তমানে দেশের কোনো মানুষ এখন না খেয়ে থাকে না।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর হাসপাতাল মাঠে আয়োজিত ১৪ দলের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আমু বলেন, যেই বাংলাদেশ ছিল দুর্ভিক্ষের দেশ, সেই বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশের কোনো মানুষ এখন না খেয়ে থাকে না। শেখ হাসিনার সরকার এই দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যে কাজ করেছে। গ্রামীণ অর্থনীতি আমাদের সূদৃঢ় হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। পুরুষদের পাশাপাশি গ্রামীণ নারীরা আর্থসামাজিক কাজে সংযুক্ত হওয়ার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখছে। তারা পরিবার ও সমাজের আয়-উৎপাদনমূলক কর্মকাণ্ড বাড়াচ্ছেন। ফলে দেশে এখন দরিদ্র নেই বললেই চলে।
এ সময় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে আমু বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের ভরাডুবি হবে জেনে তারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো নেতৃত্ব নেই এই দেশে। ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয়, বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে। তাই আগামী দিনে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করে আমরা এই দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বজায় রাখবো।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই দেশের তৃণমূল থেকে গঠিত একটি দল। তারা দেশের মানুষের হৃদস্পন্দন বুঝতে পারে। তাইতো মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে আজকে ইসরাইলের হামলার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা কথা বলেছেন। যেখানে বিএনপি ইসরাইলকে সমর্থন করছে,’ যোগ করেন আমির হোসেন আমু।
নির্বাচন সামনে রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপি-জামায়াত চক্র আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা সারা দিন বলেও শেষ করা যাবে না। আমরা এই উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে চাই। এই দেশের একটি গোষ্ঠী উন্নয়ন অগ্রযাত্রার বিরোধী শক্তি। তারা দেশের উন্নয়নকে বাধা দিতে চায়, তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তারা দেশে নৈরাজ্য করে অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে চায়। তিনি উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে নৌকার পক্ষে ভোট চান। পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা আর ষড়যন্ত্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে ১৪ দল। বিগত ১৪ বছরে যেই সেবা আপনাদের জন্য করেছি, সেই সেবা আগামীতেও করতে চাই, সে জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
