নিজস্ব প্রতিবেদক : নিরাশ হয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। কারণ আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তাদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে কোনও ঘোষণা নেই। তাদের নেতারা বলছেন, একাধিকবার আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও সরকারের তরফ থেকে বাজেট পর্যন্ত অপেক্ষার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে এ-সংক্রান্ত কিছু না থাকায় হতাশ হয়েছেন তারা। তবে আশা ছাড়েননি নেতারা। তাদের অনেকে বলছেন, বাজেট চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এরপর কোনও ঘোষণা না আসলে নতুন কর্মসূচির চিন্তা করবেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ঘোষিত বাজেটের বিষয়ে জানতে চাইলে গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, বাজেটে কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে কিছু না থাকাটা হতাশার। জানি না বাজেট চূড়ান্ত হওয়ার আগে কোনও ঘোষণা আসবে কিনা। তবে আমাদের মূল দাবি বেতন বাড়ানোর আগে বৈষম্য বিলুপ্ত করা। কারণ বৈষম্য রেখে বেতন বাড়ালে বৈষম্য আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান বলেন, গত ২৬ মে আমাদের বড় একটি সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। এর আগে গত বছরের জুনেও আন্দোলনে নামার কথা ছিল।
গত বছর পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে আগে যাতে আমরা কোনো আন্দোলনে না যাই সরকারের পক্ষ থেকে তা বলা হয়েছিল। সেটা মেনে নিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছিলাম। আর এবার বাজেট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। বারবার আমাদের দেওয়া অঙ্গিকার ভঙ্গ করা হচ্ছে। এতে নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীরা পুরোপুরি হতাশা। আর আমরা কর্মচারী নেতারা সাধারণ কর্মীদের তোপের মুখে পড়ছি। কারণ বারবার আন্দোলনের ডাক দিয়েও সেটা আমরাই স্থগিত করছি। তিনি আরও বলেন, বাজেট চূড়ান্ত হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ থেকে নিশ্চয়ই কোনও না কোনও ঘোষণা পাবো বলে আমরা আশাবাদী।
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের জন্য আবাসন সুবিধা ৮ থেকে ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য অর্জনে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬ হাজার ৫০৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে ও ৫ হাজার ২১১টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ চলছে। এ ছাড়া আরও ৮ হাজার ৮৩৫টি ফ্ল্যাট নির্মাণ ও ৬৪ জেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ডরমিটরি ভবন নির্মাণে সরকারি পরিকল্পনাও রয়েছে। বর্তমানে চলমান প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে সরকারি কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা ১৫ শতাংশে উন্নীত হবে।
