প্রতিনিধি, নরসিংদী : মাধবদী থানার মহিষাশুড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দার শুক্কুর আলীর (৮৩) ৬ মেয়ে, ২ ছেলে। বড় ছেলে ওবায়দুল এবং ছোট ছেলে মোতালিব।
বৃদ্ধ শুক্কুর আলী বলেন, গত বুধবার মাগরিবের নামায শেষে শুক্কর আলী বাড়িতে আসলে বড় ছেলে ওবায়দুল তার বাবা কে বলেন, তোর কোন কোন বাবা ডেকে আনবি আন।
শুক্কর আলী বলেন আমি মসজিদ থেকে নামায পড়ে এসেছি এই কথা বলতেই আমার বড় ছেলে ওবায়দুল আমার গলায় দু’হাতে চিপ দিয়ে আমাকে মুখে দু’টো ঘুসি মেরে উঠানে ফেলে দেয়।
আমার ছোট মেয়ে শুধু এতোটুকু বলে, বাবাকে আমরা কামাই করে খাওয়াই, আপনারাতো কিছুই দেন না, তাহলে কেন বাবাকে মারতেছেন। একথা বলতেই আমার মেয়ে মোর্শেদাকেও মারধর করে। আমার স্ত্রী সায়েদা (৬৫) ছুটাতে আসলে তারা দু’ভাই তাদের মাকেও মারে।
আমাকে পুনরায় গলায় চিপ দিয়ে ধরে ঘরের দেয়ালের সাথে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এতে আমার মাথা ফেটে রক্ত ঝড়তে থাকে। তারা আমাকে প্রায়ই মারধর করে।
ঘটনার পর সমাজবাসি ও পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায়। পুলিশ ও সমাজবাসিদের কে আমি ধন্যবাদ দেই তারা আমাকে ন্যায় বিচারে সহযোগিতা করেছেন।
তবে ওবায়দুল ও মোতালিব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা নিজেরাই কষ্ট করে চলি আর বাবা পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছেন। তারা ভুল করেছেন বলে স্বীকার করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহাম্মেদ দেওয়ান মোবাইলে জানান, এবিষয়টি নিয়ে আমরা গতকাল সমাধানের চেষ্টা করেছি এবং বৃদ্ধা তার দু’ছেলে কে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। বিষয়টি অমানবিক।
এবিষয়ে মাধবদী থানার এ এস আই রাশেল জানান, বিষয়টি জানার পর স্থানীয় মেম্বার কে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনাটির প্রাথমিক সমাধান করি এবং এবিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অবক্ষয়ের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে বলে সচেতন মহল মনে করেন। এলাকায় বিষয়টি নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।