নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভার্স্কয ভাঙ্গার মতো অপতৎপরতা কোনোভাবেই বরদাশত করবে না সাংবাদিক সমাজ। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। এর মদদদাতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী কখনো গণমাধ্যমের সহায়ক শক্তি হতে পারে না। এরা সৃজনশীল উদ্যোগ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা কোনো শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ করতে পারে না। সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির অপকৌশল হিসেবে চিহ্নিত মহল এই অপতৎপরতায় মেতে উঠেছে। এদের শক্ত হাতে দমন করতে আইনের কঠোর প্রয়োগ চায় সাংবাদিক সমাজ। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে সাংবাদিক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ দাবি করেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা, সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা পারভীন, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক, বর্তমান মহাসচিব সাবান মাহমুদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, সাংবাদিক নেতা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, স্বপন সাহা, দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন ও শেখ মামুন অর রশিদ প্রমুখ। নেতারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে আক্রমণ মূলত রাষ্ট্রের ওপর আক্রমণ। এটা কোনো সরকারি কার্যক্রম না কিংবা এটা কোনো দলীয় কার্যক্রম না, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। দেশের অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনষ্ক চরিত্রে আঘাত করা হয়েছে। দেশে বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য আছে। কিন্তু হঠাৎ করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে কেন টার্গেট করা হলো সেটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। নিজেদের ধর্মীয় পণ্ডিত দাবি করা হুজুররা বিভিন্ন ফতোয়া দিচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মতো স্বাধীন রাষ্ট্র ফতোয়া দ্বারা পরিচালিত হবে কিনা সেটাও বোধহয় জানার প্রয়োজন আছে।