এম এ মান্নান, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটে বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম স্বপনের নির্বাচনী ইসতেহার ঘোষনা। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী লালমনিরহাটে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ ধাপের পৌরসভার নির্বাচন । পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম স্বপন ৩২ টি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। আজ দুপুরে তার নিজ বাসভবনে এ নির্বাচনী ইসতেহার ঘোষণা করেন।
এসময় মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম স্বপন লিখিত ইশতেহারগুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। তার উল্লেখযোগ্য ইসশতেহার গুলো হলো -লালমনিরহাট পৌরসভাকে দেশের অন্যতম সেরা নাগরিক বান্ধব পৌরসভা হিসেবে গঠন করা।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে নিয়ে ৯০ কার্যদিবসের কর্মসুচি বাস্তবায়ন গ্রহন , পুরো পৌরসভাকে ডিজিটাল ও সিসি টিভির আওতায় নিয়ে আসা, শহরের বিভিন্ন জায়গার জলাবদ্ধতা দুরকরণ, ফ্রি মেডিকেল , ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুকরণ, মসজিদ মন্দিরের ইমাম ও পুরোহিতদের সম্মানী ভাতার ব্যবস্থা করা, কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটের সার্বিক উন্নয়ন করা, নগরবাসীর সাথে আলোচনা করে ভ্যাট ট্যাক্স নির্ধারণ করা, মুক্তিযোদ্ধাদের পৌরকর শিথিল করণ, গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা।
প্রতিবন্ধীদের সহযোগীতা করা, বাল্যবিয়ে ও যৌতুক কঠোরভাবে বন্ধ করা, খেলাধুলার মাঠ উন্নয়ন, গাড়ী পার্কিং, সড়কের যানজট কমানোসহ- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্বাস রেখে নগর পরিচালনা করার জন্য ৩২ টি নির্বাচনী ইসতেহার ঘোষনা করেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কয়েকটি অভিযোগও করেন। তিনি বলেন , কয়েকটি ওয়ার্ডে তার নেতা কর্মীদের প্রবেশ করতে বাধা দেয়া হচ্ছে , তাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে, কর্মীদের নামের তালিকা করছেন ভোটের পর দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে।
এসময় তিনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগীতা চান। তিনি আরও বলেন, সাধারন নাগরীক ও ভোটারদের আশ্বাসে সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে (নারিকেল গাছ) প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছি । ভোটের মাঠে ও সাধারণ ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।
উল্লেখ্য লালমনিরহাট পৌরসভা নির্বাচনে রেজাউল করিম স্বপন ছাড়াও আ’লীগ থেকে মোফাজ্জল হোসেন (নৌকাঁ প্রতীক) বিএনপি থেকে মোশারফ হোসেন রানা (ধানের শীষ প্রতীক) জাতীয় পার্টি থেকে ওয়াহিদুল ইসলাম সেনা (লাঙ্গল প্রতীক) এবং আমিনুল ইসলাম (হাত পাখা প্রতীক) নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। ইসতেহার ঘোষানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তার মা, বোন, স্ত্রী, পরিবারের আত্বীয় স্বজন, শুভাকাঙ্খী এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিস্ক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দরা।
