নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা প্রতিদিন২৪.কম : অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যের জেরে তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান এবার আওয়ামী লীগ থেকেও ‘বাদ’ পড়তে যাচ্ছেন এমনটাই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে। সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না। ‘স্পষ্টভাবে বলছি, অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না।
শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণু নীতিতে অটল রয়েছে। চলমান রয়েছে সরকারের শুদ্ধি অভিযান। কে কোথায় কী করছেন সব খবর দলীয় প্রধানের কাছে রয়েছে। এমনকি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারা বিদ্রোহে মদদ দিচ্ছে, প্রত্যেকের নাম কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কাছে চলে এসেছে। সময় মতো প্রত্যেকেরই এজন্য শাস্তি দেওয়া হবে। এখানে কোনো ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
যেকোনো অনিয়ম, অপকর্মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক, অপকর্ম যেই করুক, তিনি যেই হন, আইনের ঊর্ধ্বে নন সেটা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আবারো প্রমাণ করেছেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, অপরাধী দলীয় পরিচয় দেয় এবং সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ কখনো কারো পক্ষে দাঁড়ায়নি, কখনো কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড ও খুনের ঘটনায়ও কিন্তু ছাত্রলীগের যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আবরার হত্যার ব্যাপারে প্রায় সকলেই ছাত্রলীগ করত, সেখানেও কিন্তু সরকার কাউকে ছাড় দেয়নি। দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে দাবি করে সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করেনি। আমাদের অনেক মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা আছে। সাজা হয়েছে কারো কারো।
