বাহিরের দেশ ডেস্ক: চেয়েছিলেন আগ্নেয়গিরির শিখরে পৌঁছতে। কিন্তু তার আগেই ফাটলে পড়ে গিয়ে বিষাক্ত ধোঁয়ায় মৃত্যু হলো মেক্সিকোর একজন মহিলা পর্বতারোহীর। তাঁর অপর একজন আরোহণকারী সঙ্গীও আহত হয়েছেন। শুক্রবার পপোকেটপেটল আগ্নেয়গিরির শিখর থেকে প্রায় ৩০০ মিটার নিচে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই আগ্নেয়গিরিটি অত্যন্ত সক্রিয়। মেক্সিকোর মাউন্টেন রেসকিউ অ্যান্ড অ্যাসিসট্যান্স ব্রিগেড শুক্রবার নিশ্চিত করেছে যে পর্বতারোহীরা আগ্নেয়গিরির প্রায় ১ হাজার ফুট গভীর গর্তে পড়ে গিয়েছিলেন। ১৭,৭৯৭ ফুট লম্বা আগ্নেয়গিরির গর্তটি থেকে প্রায় ৩০ বছর ধরে অবিরামভাবে বিষাক্ত ধোঁয়া, ছাই নির্গত হয়ে চলেছে। ১৯৯৪ সালে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার পর থেকে বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ পর্বতারোহীদের এই আগ্নেয়গিরির ১২ কিলোমিটারের মধ্যে যেতে কঠোরভাবে নিষেধ করে। ওজুম্বার মেয়র ভ্যালেন্টিন মার্টিনেজ কাস্টিলো মৃত ২২ বছরের তরুণীকে তাঁর শহরের বাসিন্দা বলে শনাক্ত করেছেন। প্রায় ৫০ মিটার গভীর খাদ থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর দেহ।
পাহাড়ের খাঁজ থেকে তাঁর আহত সঙ্গীকেও উদ্ধার করেন স্বেচ্ছাসেবকরা, মার্টিনেজ কাস্টিলো তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একথা জানিয়েছেন। মাউন্টেন রেসকিউ অ্যান্ড অ্যাসিসট্যান্স ব্রিগেড শুক্রবার তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নোটিশ পোস্ট করে লিখেছে: ‘পপোকেটপেটল আগ্নেয়গিরি এখন বন্ধ আছে। সেখানে গিয়ে আপনি নিজের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না।’ দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ কেন্দ্র বলেছে যে আগ্নেয়গিরি থেকে জ্বলন্ত শিলাখ- ছিটকে পড়ছে, তাই এর ধারে-কাছে যাওয়া এখন একদম নিরাপদ নয় ।