ঢাকার যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুর ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার, ফ্যান, শিশু খাদ্য ও প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা
বাঙলা প্রতিদিন ডেস্ক : প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টা হইতে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মাঝরাত ২:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুর ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
এসময় বিএসটিআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লেখিত এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার, ফ্যান, শিশু খাদ্য ও প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন।
যার মধ্যে সিমফনি ইলেক্ট্রিক ইন্ডাস্ট্রিজকে নগদ-৫০ হাজার টাকা, এ.কে.এস. ক্যাবলকে নগদ-৫ লক্ষ টাকা, নাজমা ফুড এন্ড বেভারেজকে নগদ-৮ লক্ষ টাকা, এম.ভি. কর্পোরেশন এন্ড স্টিকস্’কে নগদ-৫ লক্ষ টাকা, হাসান কেমিক্যাল কোম্পানীকে নগদ-৫ লক্ষ টাকা, এস.টি.জেড. ট্রেডার্সকে নগদ-৫০ হাজার টাকা, এম.এফ. কেমিক্যাল এন্ড কোম্পানীকে নগদ-৫০ হাজার টাকা, পিউর কনজিউমারকে নগদ- ৩ লক্ষ টাকা ও মিল্লাত মেনুফেকচারিং কোম্পানীকে নগদ ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন।
এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে উক্ত মোবাইল আনুমানিক ১ লক্ষ টাকা মূল্যের নকল বৈদ্যুতিক তার, ফ্যান, শিশু খাদ্য ও প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ করতঃ ধ্বংস করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার, ফ্যান, শিশু খাদ্য ও প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল।