নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা প্রতিদিন : প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও বিএফইউজে এবং ডিইউজেয়ের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পিছনের কুশিলবদের খুজে বের করে শাস্তি প্রদান করতে হবে যাতে বাংলাদেশে এ ধরনের হত্যাযজ্ঞ কেউ ঘটাতে সাহস না পায় কোন দিন।
প্রবীণ ও কর্মাহত সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে “প্রবীণ ও কর্মাহত সাংবাদিক কলাণ পরিষদের উদ্যোগে
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকার তোপখানা রোড়ে শিশু কল্যাণ পরিষদ হলরুমে আয়োজিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় শোক দিবসের এ অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম করম আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন,বাংলাদেশ কৃষক লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
সাধারণ সম্পাদক শিকদার আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ডিইউজে সদস্য ও রিপোটার্স ইউনিটের সাবেক সভাপতি মো: শাহজাহান মিয়া, ডিইউজে সদস্য শাহজাহান আলী সাজু, অত্র সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম ইকবাল, সদস্য আক্তার জাহান মল্লিক।
প্রধান অতিথি ইকবাল সোবহান চৌধুরী আরো বলেন, আজ যারা খুনি মৌলবাদী সন্ত্রাসী দেশদ্রোহীদের পক্ষে মানবাধিকারের কথা বলছেন ও গণতন্ত্র উদ্ধারের নামে দেশী বিদেশী কুটনৈতিকরা সোচ্ছার হচ্ছেন তারা ১৯৭১ এ বাংলাদেশে গনহত্যা,৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, জেলখানার অভ্যন্তরে জাতীয় নেতাদের হত্যা ও ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বোমা নিক্ষেপে মাধ্যমে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা প্রচেষ্টায় ২৪ জন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী হত্যা করেছিল তখন এই মানবাধিকার দেশী বিদেশী নেতারা কোথায় ছিলেন? আসলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাতে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে থামিয়ে দেওয়া জন্য বঙ্গবন্ধুর খুনি দেশদ্রোহী গোষ্ঠি তাদের দেশী নিদেশী দোসরা মিলে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল ফারুক মেজর ডালিম শাহারিয়াদের শুধু ফাঁসি দিলে হবে না, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পিছনের কুশিলবদের খুজে বের করে শাস্তি প্রদান করতে হবে যাতে বাংলাদেশে এ ধরনের হত্যাযজ্ঞ কেউ ঘটাতে সাহস না পায় কোন দিন।
সভার শুরুতে সাংবাদিক আলী আহমেদের পবিত্র কোরআন তেলোয়াত এর মাধ্যমে সভা শুরু হলে সকলে দাঁড়িয়ে শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং সভা শেষে মাওলানা মো: সালেহ আহমেদ কর্তৃক মিলাদ মাহফিল পরিচালনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও ১৫ আগস্টে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা ও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সুখ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় দোয়া করেন।
