বাঙলা প্রতিদিন প্রতিবেদক : কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে শুরু হওয়া সহিংসতার পর শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাতে জারি করা হয় কারফিউ। এরপর থেকে রাজধানীসহ দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ৭ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকার পর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও গাজীপুরে ফের শুরু হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ পূর্বের নিয়মেই চলবে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কঠোর অবস্থানে থাকবে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে বুধবারের (২৪ জুলাই) মতো বৃহস্পতিবারও যানবাহনের চাপ ছিল রাজধানীতে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিথিল ছিল কারফিউ। বিকেল ৩টার মধ্যেই অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি অফিসের কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
রাজধানীর মহাখালী, বনানী, এয়ারপোর্ট, উত্তরা সড়কে গাড়ির চাপ দেখা যায়। তাছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রধান সড়কে গাড়ির চাপ ছিল দ্বিগুণ। এর আগে গত ১৯ জুলাই বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় কারফিউ দেওয়ার পর থেকে মধ্যরাত থেকে মাঠে নামে সেনাবাহিনী।
এছাড়াও রোববার (২১ জুলাই) থেকে সব ধরনের অফিস ও গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা করে জারি করা হয় সাধারণ ছুটি।
ছুটির পর বুধবার থেকে খুলে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস। তবে সকাল ৯টার পরিবর্তে অফিস শুরু হয় বেলা ১১টা থেকে। বিকেল ৫টার পরিবর্তে অফিস শেষ হয় বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
কারফিউ শিথিলের সময় সারা দেশে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা। চলবে তৈরি পোশাক শিল্পকারখানার কাজ।
