নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা প্রতিদিন: রাজধানীর উত্তরায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে মূল পরিকল্পনাকারী আকাশ আহম্মেদ বাবুল। আসামিদের কাছ থেকে প্রায় আট কোটি টাকা উদ্ধার করা হলেও এখনও হদিস মিলছে না তিন কোটি টাকার।
রোববার রাতে টাকা বহনকারী মানি প্ল্যান্ট লিংকের পরিচালক আলমগীর হোসেন জানান, ওই ঘটনায় সব আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল পরিকল্পনাকারী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। কিন্তু এখনও প্রায় তিন কোটি টাকার কোনও হদিস নেই। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় আট কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। সেই টাকার জন্য সোমবার আদালতে আবেদন করবে মানি প্ল্যান্ট লিংক কোম্পানি।
এদিকে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে মূল পরিকল্পনাকারী আকাশ আহম্মেদ বাবুল। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। দুই দফা রিমান্ড শেষে আকাশকে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে হাজির করলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মিরপুর জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর সাজু মিয়া আকাশের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মানস কুমার পোদ্দার গণমাধ্যমকে জানান, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে ১১ জন স্বীকারোক্তিমূলক জববানবন্দি দিয়েছে। তারা সবাইকে এক জায়গায় করেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আরও ৩ কোটি টাকার কথা জিজ্ঞাসাও করা হয়েছে। ছিনতাইকারীরা শক্ত অবস্থানে রয়েছে। তারা ওই টাকার এখনও কোন তথ্য দিচ্ছে না। এ ঘটনায় তারা আরও কাজ করছে বলে জানান।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলো- এই ছিনতাই চক্রের প্রধান আকাশ আহম্মেদ বাবুল, সহযোগী সোহেল রানা, সাগর মাতুব্বর, সানোয়ার হাসান, ইমন ওরফে মিলন, আকাশ মাদবর, সাগর মাদবর, বদরুল আলম, মিজানুর রহমান, সনাই মিয়া ও এনামুল হক বাদশা।
প্রসঙ্গত, গত ৯ মার্চ সকালে উত্তরা থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাই করে চক্রটি। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে ডিএমপির তুরাগ থানায় মামলা করেন।
