জাকির মোল্লা, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একরাতেই দুটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারের পক্ষ থেকে থানায় দেয়া আত্মহত্যার লিখিত বর্ণনা অনুযায়ী জানা যায়, উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচরনওপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের মানসিক প্রতিবন্ধী পুত্র আসাদুল হক (২৫) সে বেশিরভাগ সময় বারান্দায় ঘুমাত। সোমবার দিবাগত রাতেও প্রতিদিনের ন্যায় বারান্দায় ঘুমিয়েছিল।
ভোররাত ৩টায় সেহেরীর সময় পরিবারের লোকজন ছেলেকে বারান্দায় না পেয়ে খোঁজাখোঁজি শুরু করে। রাতে আর কোথাও তাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। পরে বাড়ি লোকজন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি থেকে ৪’শ গজ দূরে কাঁচা মাটি নদের পাড়ে গাছের সাথে গলায় মাফলার পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
অপরদিকে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের পাড়াপাচাশী গ্রামের আব্দুস সোবহানের কন্যা বিলকিস আক্তারের (৩৫) প্রায় ১৬ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের বৃ-পাচাশি গ্রামের সফির উদ্দিনের ছেলে সোহাগ মিয়ার(৪০) সাথে বিয়ে হয়।
দাম্পত্যজীবনে দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে স্বামীর ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহতের ভাই জিয়াউর রহমান জানান, ভগ্নিপতির সাথে আমার বোনের দাম্পত্যজীবন ছিল সুখের। এ আত্মহত্যার কারণ আমার জানা যায় নেই।
ঈশ্বরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল কাদের মিয়া জানান, দুটি আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাদতন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।