সংবাদদাতা, রংপুর: রংপুরের হারাগাছে এক বৃদ্ধার কবর থেকে শফিকুল ইসলাম নামে জীবিত এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শফিকুল হারাগাছ পৌর এলাকার ধুমেরকুঠি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবুজারের ছেলে। ওই যুবক কবরের মধ্যে বৃদ্ধার মরদেহ কোলে নিয়ে বসে ছিলেন।
শুক্রবার সকালে জয়বাংলা বাজার সরকারি কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার ধুমেরকুঠি চাঁদমিয়াপাড়ার মৃত আছিমুল্লাহর স্ত্রী সবিরন নেছা মারা যান। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে জানাজার পর জয়বাংলা বাজার সরকারি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। শুক্রবার সকালে পরিবারের সদস্যরা তার কবর জিয়ার করতে কবরস্থানে গিয়ে দেখেন, কবরের এক কোণে মাটি খোঁড়া। ভেতর থেকে মানুষের গোঙানী শব্দ শুনতে পেরে ভয়ে সেখান থেকে বাড়িতে গিয়ে অন্যদের নিয়ে আবার কবরস্থানে যায়। তারা দেখেন, কবরের ভেতরে মরদেহ কোলে নিয়ে ওই যুবক বসে কাঁদছে। পরে পুলিশে খবর দিলে ওই যুবককে কবর থেকে উঠিয়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মৃত ছবিরনের ছেলে আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে হারাগাছ থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার বিবরণে আজহারুল জানান, শুক্রবার সকালে তার স্ত্রী, বোন এবং মেয়ে তার মায়ের কবর দেখতে যায়। গিয়ে মাটি সরানো এবং ভেতর থেকে গোঙানীর শব্দ শুনে তাকে জানায়। পর তিনিসহ অন্যরা কবরের কাছে গিয়ে বাঁশের চাটাই সরিয়ে দেখেন, ভেতরে একজন বসে আছে। তখন তিনি ভয়ে কাঁপতে থাকেন। পরে তিনি গ্রাম পুলিশ আলতাফকে ফোন করে ডেকে আনেন। তিনিও এসে একই দৃশ্য দেখতে পান। কিন্তু ভেতরে বসে থাকা যুবককে তিনি চিনতে পারেন। এরপর পুলিশকে খবর দেয় আলতাফ।
ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানান, আটক ওই যুবক মাদকাসক্ত। তিনি মানসিকভাবেও অসুস্থ। এর আগেও নেশার টাকা না পেয়ে নানা বিশৃঙ্খলা করেছে এবং কয়েকবার এ নিয়ে সালিসও হয়েছে।
হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় ধর্মানুভূতিতে আঘাত এবং কবরস্থানে অনধিকার প্রবেশ করে মরদেহের অসম্মান করার অপরাধে দায়ের করা মামলায় ওই যুবককে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।