300X70
বৃহস্পতিবার , ১৫ জুন ২০২৩ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ ও দূর্নীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আনন্দ ঘর
  4. আনন্দ ভ্রমন
  5. আবহাওয়া
  6. আলোচিত খবর
  7. উন্নয়নে বাংলাদেশ
  8. এছাড়াও
  9. কবি-সাহিত্য
  10. কৃষিজীব বৈচিত্র
  11. ক্যাম্পাস
  12. খবর
  13. খুলনা
  14. খেলা
  15. চট্টগ্রাম

চলছে ৭ দিন ব্যাপী স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ স্মরণ অনুষ্ঠান

প্রতিবেদক
বাঙলা প্রতিদিন২৪.কম
জুন ১৫, ২০২৩ ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ

২য় দিনের আয়োজন: কমল দাশগুপ্ত ও সমর দাস স্মরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা প্রতিদিন : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সঙ্গীত নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় চলছে ৭ দিন ব্যাপী স্মরণ অনুষ্ঠান: স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্পী, সুরকার, সঙ্গীতজ্ঞদের স্মরণে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

আজ ১৪ জুন বুধবার দ্বিতীয় দিনে ছিলো ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রথিতযশা সঙ্গীতশিল্পী, প্রসিদ্ধ সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক কমল দাশগুপ্ত এবং সুরকার, যন্ত্রশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক সমর দাস স্মরণে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

কমল দাশগুপ্ত স্মরণ অনুষ্ঠান
একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে প্রথিতযশা সঙ্গীতশিল্পী, প্রসিদ্ধ সুরকার কমল দাশগুপ্ত স্মরণে ১ম পর্যায়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। কমল দাশগুপ্ত স্মরণে প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রিয়াংকা গোপ । আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী ইয়াসিমিন মুশতারি এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের যুগ্মসচিব মো: শামীম খান।

ত্রিশ এবং চল্লিশের দশকে গ্রামোফোন ডিস্কে তাঁর সুরে গাওয়া বহু গান অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। সাঁঝের তারকা আমি, আমি ভোরের যুথিকা প্রভৃতি গান আজও সমাদৃত। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বহু জনপ্রিয় গানে তিনি সুরারোপ করেছেন। প্রায় তিনশো নজরুলগীতির সুর রচয়িতা ছিলেন কমল দাশগুপ্ত। বাংলা চলচ্চিত্রের সুরকার হিসেবেও প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন, হিন্দি আধুনিক সঙ্গীত – ‘গীত’ প্রচারেও তার অবদান অপরিসীম।

অনুষ্ঠানে একাডেমির সম্মানিত সচিব সালাহ উদ্দিন আহাম্মদ বলেন- ‘সাংস্কৃতিক অঙ্গণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখা এই গুনীজনদের নিয়ে এ ধরনের আলোচনার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মাঝে আমরা শুদ্ধাচার ও তাদের জীবন অনুসরণের শিক্ষণীয় বার্তা তুলে ধরার চেষ্টা করি। যা প্রতিবছরই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি করে থাকে। আগামী বছরেও এ ধরনের আয়োজনের আরো প্রসারের মাধ্যমে আমরা গুণীজন ও স্মরণীয় ব্যক্তিদের নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে চাই’।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই ‘কমল দাশগুপ্ত স্মরণে শিল্পী মৃদুলা সমদ্দার এর কন্ঠে পরিবেশিত হয় ‘এমনি বরষা ছিলো সেদিন এবং ‘তুমি এসেছিলে জীবনে আমার পথের ভুলে’একক সংগীত। শামীমা পারভীন শিমু পরিবেশন করেন ‘পৃথিবী আমারে চায়, রেখোনা বেঁধে আমায়’ও ‘আমি বনফুল গো ছন্দে ছন্দে দুলি আনন্দে’। এছাড়াও ছিলো বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী ইয়াসমিন মুশতারির কন্ঠে গান।

সমর দাস স্মরণ
সুরকার, যন্ত্রশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক সমর দাস স্মরণে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় ২য় পর্বে। সমর দাসের উপর প্রবন্ধ পাঠ করেন সরকারি সংগীত কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. কমল খালিদ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী খুরশিদ আলম।

দেশভাগের পরে ঢাকা কেন্দ্রিক নাগরিক সঙ্গীত ঐতিহ্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দুজন সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকারের অবদানকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়। সমর দাস তাদের মধ্যে একজন। ১৯৬৬ সালে তিনি কিছুকাল করাচীতে পিআইএ সাংস্কৃতিক দলের সঙ্গীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানে চলচ্চিত্র শিল্প গড়ে উঠলে তিনি সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে এর সঙ্গে যুক্ত হন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রধান সঙ্গীত সংগঠক ও সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা ছিল সমর দাসের সঙ্গীতে বহুমুখী পারদর্শিতা অর্জনের এক উজ্জ্বল ভূমিকা।

শিল্পকলা একাডেমিসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমর দাস যুক্ত ছিলেন। শিল্পীদলের সদস্য ও দলনেতা হিসেবে তিনি নানা দেশ ভ্রমণ করেন। তাঁর সৃষ্ট সুরে বহু গান জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং সেসব গান গেয়ে অনেক শিল্পী সঙ্গীত জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।

আলোচনায় সাংস্কৃতিক অঙ্গণে সমর দাসের ভুমিকা, নতুন প্রজন্মের কাছে তাকে তুলে ধরতে এ ধরনের আয়োজনের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন আলোচকরা।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ‘সমর দাস’ স্মরণে সংগীত পরিবেশন করেন আলম আরা মিনু, বিশিষ্ঠ কন্ঠশিল্পী খুরশিদ আলম এবং বিপাশা ইয়াসমিন। বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী খুরশিদ আলম কন্ঠে ‘খেপার বাগান খালি করে ঐ গোলাপটা আমায় দাও’ গান এবং বিপাশা ইয়াসমিন কন্ঠে ’তন্দ্রা হারা নয়ন আমার’ ও ‘লাজুক লাজুক চোখ মেলে ঐ’ গান পরিবেশিত হয়। এছাড়াও ছিলো আলম আরা মিনুর কন্ঠে সংগীত পরিবেশনা।

সর্বশেষ - খবর

ব্রেকিং নিউজ :