আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বেলারুশ সফরে গেছেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফু। ইতিমধ্যে তিনি দেশটির প্রধান আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে লি জানিয়েছেন, পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক মজবুত করার জন্যই বেলারুশে গেছেন তিনি। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে সার্বিক সম্পর্কের উন্নতিও তার সফরের অন্যতম লক্ষ্য।
তবে সামরিক ক্ষেত্রে কী কী চুক্তি হয়েছে দুই দেশের সে বিষয়ে কেউ কোনো মন্তব্য করেননি চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
বেলারুশের লুকাশেংকো জানিয়েছেন, বেলারুশের প্রতিরক্ষার কথা মাথায় রেখেই চুক্তি হয়েছে, আলোচনা হয়েছে। এর ফলে অন্য দেশের কোনো ক্ষতি হবে না। লুকাশেংকো মনে করিয়ে দিয়েছেন, প্রতিরক্ষার বিষয়ে বেলারুশ সম্পূর্ণভাবে চীন ও রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এই দুই বন্ধুই বেলারুশের পাশে আছে।
এদিনের বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংকে আলাদা করে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন লুকাশেংকো। সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, শিকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন তিনি। শি তার অন্যতম বন্ধু।
সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে বেলারুশ ও চীনের দূরত্ব ক্রমশ বেড়েছে।
তাইওয়ানে চীন যেভাবে সামরিক মহড়া করছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলো তার কঠোর নিন্দা করছে। একই সঙ্গে মানবাধিকার নিয়েও চীনকে বারংবার কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের গুপ্তচরবৃত্তি নিয়েও রীতিমতো শোরগোল হয়েছে।
অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বেলারুশ। রাশিয়াকে তারা সব রকম সাহায্য করছে।
এই পরিস্থিতিতে বেলারুশের সঙ্গে চীনের সামরিক বৈঠক ভূরাজনীতির দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।