বাহিরের দেশ ডেস্ক : রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান টানা তৃতীয়বারের তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে আগামী পাঁচ বছরের জন্য তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
দেশটিতে রোববার (২৮ মে) অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।
এদিকে, তার বিজয় উদযাপনে রাজধানী আঙ্কারাসহ দেশটির বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে এসেছে হাজার হাজার মানুষ। বিদেশি নেতারাও জয়ের খবরে এরদোয়ানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি এরদোয়ানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদারের ইচ্ছে পোষণ করেছেন। লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ানের আব্দুল হামিদ এরদোয়ানের জয়কে তুরস্কের বিজয় বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এরদোয়ানের বিজয়কে অবিসংবাদিত উল্লেখ করে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর ওরবান। ফিলিস্তিন, আজারবাইজান ও সার্বিয়ার রাষ্ট্র নেতারাও এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, তুরস্কের মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।
বিদেশী গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনে এরদোয়ান পেয়েছেন ৫২ দশমিক ১২ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনস এলায়েন্সের কামাল কিলিজদারগলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট। এতে এরদোয়ান বেসরকারিভাবে প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা)। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। সন্ধ্যার পর থেকেই কেন্দ্রগুলোর প্রাথমিক ফলাফল আসতে থাকে।
এরআগে গত ১৪ মে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তুরস্কে। সে সময় প্রেসিডেন্ট পদে কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ের সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিলেন এরদোয়ান। এরপরই ছিলেন কেমাল কিলিচদারওলু। তার ভোট ছিল ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ। ফলে ভোট দ্বিতীয় দফায় গড়ায়।
এরদোয়ান বিগত ২০১৪ সাল থেকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগে ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আর ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত।
