বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বিশেষ আয়োজন
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা প্রতিদিন : বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ইন্টেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক আর্টক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে বুধবার (১২ এপ্রিল) থেকে জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় দিনব্যাপী ইন্টেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ বিষয়ক আর্টক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নেন দেশের বরেণ্য, বিশিষ্ট ও প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীরা।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এ আর্টক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশের বরেণ্য বিশিষ্ট এবং প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী বীরেন সোম, শিল্পী ড.ফরিদা জামান, শিল্পী নাইমা হক, শিল্পী রনজিৎ দাস, মোহাম্মদ ইউনুস, শিল্পী সৈয়দা মাহবুবা করিম, শিল্পী মোখলেছুর রহমান, শিল্পী গুলশান ঘোষ, শিল্পী তরুণ ঘোষ, শিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, শিল্পী গুলশান হোসেন, শিল্পী ড. মোহাম্মদ ইকবাল, শিল্পী সুশান্ত কুমার অধিকারী, শিল্পী কামাল পাশা চৌধুরী, শিল্পী মিন্টু দে, শিল্পী সমীরণ চৌধুরীসহ অর্ধশতাধিক চারুশিল্পীগণ। আর্ট ক্যাম্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম, উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বরেণ্য শিল্পী হাশেম খান, সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন- “বরেণ্য ও বিশিষ্ট শিল্পীদের অংশগ্রহণে যে চিত্রকর্মগুলো তৈরী হবে তা একাডেমিতে সংরক্ষিত থাকবে।
পরবর্তীতে নানান অনুষ্ঠান আয়োজন বা প্রদর্শনীতে আগত বিদেশি শিল্পীরা দেখবে বাংলাদেশের শিল্পীদের ভাবনা, ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ নিয়ে বাংলাদেশের শিল্পীদের ভাবনাগুলো কেমন এবং এসব চিত্রকর্মের মাধ্যমেই আমাদের ঐতিহ্য ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বময়”
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন একাডেমির সম্মানিত সচিব জনাব সালাহ উদ্দিন আহাম্মদ।
বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা, শীতল পাটি, জামদানি শাড়ি ইউনেস্কো ঘোষিত ইনটেজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব বাংলাদেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এসব বিষয় বস্তুকে উপলক্ষ্য করে অনুষ্ঠিত হয় এ আর্টক্যাম্প। এর আওতায় দেশের বরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে সৃজিত শিল্পকর্মগুলো নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। এই প্রদর্শনী চলবে ১৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত। ইন্টেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক এ আর্টক্যাম্পের সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন বরেণ্য শিল্পী নাসিম আহমেদ নাদভী।