হাসান রাউফুন : ভাষার প্রতি দরদ বাড়িয়েছেন কবি, গীতিকার, লেখক, গায়ক প্রমুখ। ভাষা আন্দোলনে উদ্ধুদ্ধ করেছেন ভাষা সংগ্রামী নেতা-রাজনীতিক, দেশপ্রেমিক, সমাজসেবক প্রমুখ।
সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, মাওলানা আকরম খাঁ, সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, মুজিবুর রহমান খাঁ, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী তাঁরা বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করেছেন। বাংলাদেশের দুটি বড় অর্জনে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘আমি সাধারণ সম্পাদক (আওয়ামী মুসলিম লীগের) হয়েই একটা প্রেস কনফারেন্স করলাম। তাতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে হবে, রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে এবং যারা একুশে ফেব্রæয়ারি শহিদ হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দান এবং যারা অন্যায়ভাবে জুলুম করেছে তাদের শাস্তির দাবি করলাম।’
১৯৪৭ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৪৭ সালের ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তানের কর্মী সম্মেলনে গণতান্ত্রিক যুবলীগ গঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে ভাষা বিষয়ক কিছু প্রস্তাব গৃহীত হয়। এ প্রসঙ্গে গাজীউল হক বলেন, ‘সম্মেলনের কমিটিতে গৃহীত প্রস্তাবগুলো পাঠ করলেন সেদিনের ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান।’
ভাষা সম্পর্কিত প্রস্তাব উত্থাপন করে তিনি বললেন, ‘পূর্ব পাকিস্তান কর্মী সম্মেলন প্রস্তাব করিতেছে যে, বাংলা ভাষাকে পূর্ব পাকিস্তানের লিখার বাহন ও আইন আদালতের ভাষা করা হউক।
সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হইবে তৎসম্পর্কে আলাপ-আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার জনসাধারণের উপর ছাড়িয়া দেওয়া হউক। এবং জনগণের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গৃহীত হউক।’ এভাবেই ভাষার দাবি প্রথমত উচ্চারিত হয়েছিল।
