300X70
সোমবার , ১৯ এপ্রিল ২০২১ | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ ও দূর্নীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আনন্দ ঘর
  4. আনন্দ ভ্রমন
  5. আবহাওয়া
  6. আলোচিত খবর
  7. উন্নয়নে বাংলাদেশ
  8. এছাড়াও
  9. কবি-সাহিত্য
  10. কৃষিজীব বৈচিত্র
  11. ক্যাম্পাস
  12. খবর
  13. খুলনা
  14. খেলা
  15. চট্টগ্রাম

ভালো নেই পটিয়ার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা

প্রতিবেদক
বাঙলা প্রতিদিন২৪.কম
এপ্রিল ১৯, ২০২১ ১১:১২ অপরাহ্ণ

চট্রগ্রামের হুইপ শামসুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রামের পটিয়ার এমপি শামসুল হক চৌধুরীর রাজ্যে ভালো নেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা। হুইপ ও তার পুত্র নাজমুল হক চৌধুরী শারুনের অপকর্মের প্রতিবাদ কিংবা মতের অমিল হলেই শুরু হয় বাপ-ছেলের বাহিনী চালায় মধ্যযুগীয় কায়দায় জুলুম নির্যাতন। দেয় মামলা। প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা থেকে শুরু করে ছাত্রলীগের নেতা কর্মী কেউ বাদ পড়ছে না তাদের রোষানল থেকে। এমনকী তাদের মামলা জাল থেকে বাদ পড়ছি নেতাদের ঘরের চাকরও।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম নবী বলেন, ‘শামসুল হক ও তারপুত্র শারুন পটিয়ায় আওয়ামী লীগ নিধন যজ্ঞ শুরু করেছে। প্রতিনিয়তই তাদের হামলা ও মামলার শিকার হচ্ছেন আওয়ামী লীগ পরিবারের কেউ না কেউ। তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় আমাকে মোবাইল চুরির মামলা দিয়েছে। শারুন একাধিকবার নাজেহাল করেছে।’

পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন বলেন, ‘২০১৬ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে শামসুল হকের সাথে বিরুদ্ধের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে তার দেয়া মামলা ও হামলায় জর্জরিত আমি ও আমার পরিবার। শুধু আমার পরিবার নয়, পটিয়ায় যারাই তার মতের বিরুদ্ধে গেছের তাদের মামলা হামলা দিয়ে হয়রানী করছে। প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা থেকে শুরু করে ছাত্রলীগ নেতা কেউ বাদ যাচ্ছে না তাদের রোষানল থেকে।’

পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক জমির উদ্দিন বলেন, ‘শামসুল হক জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান এবং এমপি নির্বাচনের জন্য মাঠ গোছানো সব সামনে থেকে কাজ করেছি। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর মতের অমিল হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেয়া শুরু করেছে। এরই মধ্যে আমার বিরুদ্ধে ২৭ টি মামলা দিয়েছে। আমার তিন ভাই, চার ভাইপো, দুই ভাগ্নের বিরুদ্ধেও মামলা দিয়েছেন। হুইপের রোষানল থেকে বাদ যায়নি আমার ঘরের ৪ চাকর ও দুই সিএনজি টেক্সি চালকও।’

অনুসন্ধানে জানা যায়, পটিয়া আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর নিজস্ব বলয় তৈরি করতে মনোনিবেশ করেন শামসুল হক চৌধুরী। এসময় আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা কর্মীদের পরিবর্তে বিএনপি জামায়াত থেকে নেতা কর্মীদের পূর্ণবাসন করতে থাকেন শামসুল হক। তার এ কর্মকাণ্ডের বিরোধীতা করে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা কর্মীরা।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সাথে বিরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে মামলা ও হামলার পথ অনুসরণ শুরু করেন শামসুল। যার মধ্যে গত পাঁচ বছরে হুইপ শামসুল হক ও তার পুত্র নাজমুল হক চৌধুরী শারুন বাহিনীর হাতে হামলা ও মামলার শিকার হয়েছে শত শত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী। হুইপ ও তার পুত্রের রোষানল থেকে বাদ যায়নি প্রবীন আওয়ামীগ নেতা থেকে শুরু করে ছাত্রলীগের নেতা কর্মী। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলারগুলোর মধ্যে চুরি মামলা যেমন রয়েছেন, তেমনি বিএনপি’র জ্বালাও পোড়াও মামলাও রয়েছে।

অপকর্মের প্রতিবাদ করায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম নবীর বিরুদ্ধে দেয়া হয় মোবাইল চুরি ও ৮ হাজার টাকা ছিনতাই মামলা। পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দেয়া হয় মারামারি মামলা। পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক জমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দেয়া হয় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ ২৭ টি। দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দেয় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা।

পটিয়া উপজেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু ছৈয়দ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম সাইফু, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জামসেদ হিরু, পটিয়া পৌরসভার ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মীর আবদুল আউয়ালের বিরুদ্ধে দেয়া হয় গাড়ি ভাঙচুর মামলা। বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সাধারণ সম্পাদক মোবশ্বের আলমের ও অর্থ সম্পাদক মাহবুব আলম বিরুদ্ধে দেয়া হয় গাড়ি ভাঙচুর ও মারামারি মামলা।

পটিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাইফুর আজম রুনেলের বিরুদ্ধে দেয়া হয় জ্বালাও পোড়াও মামলা। পটিয়া পৌরসভা জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি সাইফু উদ্দিন ভোলার বিরুদ্ধে দেয়া হয় ভাঙচুর ও অপহরণ মামলা। হুইপ ও তার পুত্রের রোষালন পড়ে মামলা থেকে বাদ যায়নি প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা বজল আহমদ, মো ইসহাক, পটিয়া আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ কামাল, রবিউল হোসেন আপেল, মো ওবাইদুল্লাহ, পৌর আওয়ামী লীগের নেতা নোমান সরওয়ার দুলাল। নেতা কর্মীদের পাশাপাশি ঘায়েল করতে মামলার শিকার হয়েছে নেতা কর্মীদের পরিবারের সদস্যদেরও। এমন ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে রয়েছে পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক জমির উদ্দিনের পরিবার। জমিরের ভাই মো রায়হান, আবদুর রহমান ভাতিজা মো আসাদ, মো ইমরুল, মো. ইরাদও করা হয়েছে মামলার আসামী।

সর্বশেষ - খবর

ব্রেকিং নিউজ :