ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নির্বাচন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সিনিয়র রিপোর্টার মুরসালিন নোমানী এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন দৈনিক সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার মসিউর রহমান খান।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এক বছর মেয়াদি এই কমিটির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। তবে তিনি অসুস্থ থাকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।
ডিআরইউর ২০২১ সালের কার্যনির্বাহী কমিটির এই নির্বাচন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংগঠনের কার্যালয় চত্বরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। ডিআরইউর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নেন। এক হাজার ৬৯৩ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন এক হাজার ৩৮১ জন। কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি, সহসভাপতি, ১২টি সম্পাদকীয় ও ৭টি কার্যনির্বাহী সদস্যসহ ২১টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪১ জন। তবে ১৮ পদে নির্বাচন হয়। বাকি তিনটি পদে তিনজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নির্বাচনে সভাপতি পদে ৫২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মুরসালিন নোমানী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহনেওয়াজ দুলাল (সময়ের আলো) পেয়েছেন ৪৪৭ ভোট। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী নজরুল ইসলাম মিঠু পেয়েছেন ৩৯৮ ভোট। সহসভাপতি পদে ওসমান গণি বাবুল (৭২ টিভি) পেয়েছেন ৫৩৩ ভোট; তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নজরুল কবির পেয়েছেন ৪৮৬ ভোট। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল বাশার নুরু পেয়েছেন ২৭৩ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সমকালের মসিউর রহমান খান। তিনি পেয়েছেন ৬৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৪২৬ ভোট। আবু আল মোরছালীন বাবলা পেয়েছেন ২৩৮ ভোট।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন আরাফাত দাড়িয়া, তিনি পেয়েছেন ৩২৬ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মেহদি আজাদ মাসুম পেয়েছেন ২৭০, আর গোলাম মইনুল আহসান পেয়েছেন ২৫৮, হাফিজ আল আসাদ (সাঈদ খান) পেয়েছেন ২৩৭ ও ফারুক খান পেয়েছেন ২২০ ভোট। অর্থ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন শাহ আলম নূর। তিনি পেয়েছেন ৭৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শ্যামল কান্তি নাগ পেয়েছেন ৫১৩ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৭৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মইনুল হাসান সোহেল (ইনকিলাব)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ আল কাফি পেয়েছেন ২৯৬ ভোট এবং আরেক প্রার্থী আব্দুল হাই তুহিন পেয়েছেন ২৭০ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে জাফর ইকবাল (সংগ্রাম) নির্বাচিত হয়েছেন ৬৫০ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না পেয়েছেন ৬৪৬ ভোট। তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক পদে ৬৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন হালিম মোহাম্মদ (জাগরণ)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল মোশারেফ পেয়েছেন ৫৫৯ ভোট। ক্রীড়া সম্পাদক পদে ৭৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মাকসুদা লিসা (ভয়েজ অব এশিয়া)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মজিবুর রহমান পেয়েছেন ৫২৯ ভোট। সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ৭৬০ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন মিজান চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহবুদ্দিন মাহতাব পেয়েছেন ৪৪১ ভোট। আপ্যায়ন সম্পাদক পদে মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন (রাইজিং বিডি) ৫৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান পেয়েছেন ৫৮৩ ভোট।
তিনটি সম্পাদকীয় পদে পুনরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন- নারী বিষয়ক সম্পাদক রীতা নাহার (বৈশাখী টেলিভিশন), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান রুবেল (আরটিভি) এবং কল্যাণ সম্পাদক পদে খালিদ সাইফুল্লাহ (নয়াদিগন্ত)।
এ ছাড়াও নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সাতটি সদস্য পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিজয়ীরা হলেন- বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এমএম জসিম (৭৯২ ভোট), ঢাকা টাইমসের আজিজুর রহমান রহমান আজিজ (৭৩০), ভোরের কাগজের রুমানা জামান (৭১৩), বিটিভির মাহবুবুর রহমান (৬৯০), নিউ নেশনের রফিক রাফি (৬৬৬), বিটিভির নার্গিস জুঁই (৬৩৮) ও মানবকণ্ঠের জাহাঙ্গীর কিরণ (৫৫১ ভোট)।
