300X70
সোমবার , ১৭ জানুয়ারি ২০২২ | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ ও দূর্নীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আনন্দ ঘর
  4. আনন্দ ভ্রমন
  5. আবহাওয়া
  6. আলোচিত খবর
  7. উন্নয়নে বাংলাদেশ
  8. এছাড়াও
  9. কবি-সাহিত্য
  10. কৃষিজীব বৈচিত্র
  11. ক্যাম্পাস
  12. খবর
  13. খুলনা
  14. খেলা
  15. চট্টগ্রাম

১৫ ফেব্রুয়ারি বইমেলা শুরু উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় প্রকাশকরা

প্রতিবেদক
বাঙলা প্রতিদিন২৪.কম
জানুয়ারি ১৭, ২০২২ ১২:১২ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে দুই সপ্তাহ পেছালো এবারের অমর একুশে বইমেলা। চলতি বছর বইমেলা আগামী ১৫ ফেব্রæয়ারি থেকে শুরু হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসান তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, করোনা পরিস্থিতির জন্য সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী একুশে বইমেলা দুই সপ্তাহ পেছানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মেলা আরো পিছিয়ে শুরু হতে পারে। মেলা পিছিয়ে দেওয়ায় প্রকাশকরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, অফিসিয়ালি এখনো চিঠি ( মেলা পেছানোর বিষয়ে) হাতে পাইনি। দুই সপ্তাহ পিছিয়ে ১৫ ফেব্রæয়ারি থেকে মেলা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে শুনেছি। চিঠি হাতে এলেই সবাইকে জানানো হবে। প্রতি বছরের ১ ফেব্রæয়ারি বইমেলা শুরু হলেও গত বছর ১৮ মার্চ শুরু হয়েছিল। ওইদিন বিকেল ৩টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বইমেলা উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরই মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত হয়। মেলা চলার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু করোনার প্রকোপ বাড়ায় নির্ধারিত সময়ের দুদিন আগেই শেষ হয়ে যায় বইমেলা।

আনিন্দ্য প্রকাশ প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক বকুল মিয়া বলেন, করোনার কারণে এবার বইমেলা দুই সপ্তাহ পিছিয়েছে। আমাদের দেশে সাধারণত মার্চ থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। আর কাগজের শত্রæ হলো বৃষ্টি। এবারের মেলায় বৃষ্টি হওয়ার একটা শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বৈরি পরিবেশের কারণে ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকার সম্ভাবনা বেশি। এতে ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।

কথা প্রকাশের প্রকাশক বলেন, এবারের বইমেলায় উৎসবটা আগের মত হবে না। করোনার আতঙ্কে মানুষজন বই মেলায় আসতে চাইবে না।আসবেও না। আর যারা আসবেন তাদের অনেকেই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করবেন। ক্রেতা থাকবে না। এতে প্রকাশকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আর মেলা দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দিলে বৃষ্টির ভয় আছে। এতে বই ভিজে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রকাশকরা।

তাম্রলিপির প্রকাশনীর প্রকাশক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, অন্যান্যবারের মতো পুরোদমে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু এবারের বইমেলা দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়া হলো, তাই ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। প্রকৃতির ওপর তো আমাদের কারও হাত নেই। তাই বৈরি পরিবেশের প্রভাব মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

বাংলাবাজারের খুদে প্রকাশকরা জানান, আমরা সাধারণত তরুণ লেখকদের সুযোগ দিয়ে থাকি। কিন্তু এবার বইমেলা হওয়া না হওয়া নিয়ে লেখকেরাও সন্দিহান ছিলেন। ফলে লেখকেরা অনেকে বই প্রকাশের জন্য লেখা জমা দিলেও পরে আবার সেটি বাতিল করছে। যার কারণে আমরা লোকসানের সম্মুখীন হতে পারি। তবু আমাদের প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু মেলা পিছিয়ে দেওয়ায় প্রকাশকরা উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় সময় পার করছে বলে জানা গেছে।

ইতোমধ্যে স্টল বরাদ্দসহ বেশকিছু কাজের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলা একাডেমি। এরই মধ্যে জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বব্যাপী জারি হয়েছে নতুন করে বিধিনিষেধ। বাংলাদেশেও সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে। এই অবস্থায় মেলার জনসমাগম কীভাবে সামলানো হবে বা আদৌ মেলা করা সম্ভব হবে কিনা সে নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। প্রকাশক, লেখক, পাঠক সকলের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, বইমেলা কি হবে না? আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি বলছে, এখন পর্যন্ত প্রস্তুতি চলছে। তবে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি যেভাবে সিদ্ধান্ত দেয় সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিবেন তারা বলেও উল্লেখ করেন। আর এ পরিস্থিতিতে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় প্রকাশকদের পক্ষ থেকে একটু রয়েসয়ে নীতি মেনে প্রস্তুতি চলছে।

এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। করোনার কারণে ২০২১ সালে বইমেলার সীমিত আয়োজনের মধ্যে মেলা জমে না ওঠায় প্রকাশকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন। অনেক প্রকাশক তাদের কাজ স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছেন গত দুই বছর। এ বছরও ওমিক্রনের বিস্তার বেড়ে গেলে নতুন করে ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় কিনা সেই শঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রকাশকরা।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এ অবস্থায় কমিটির পক্ষ থেকে সব ধরনের সমাবেশ বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। গত শুক্রবার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কোভিড পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় যেকোনো অপ্রীতিকর সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হবে এটা ধরে নিয়েই প্রকাশকরা নিজেদের মতো করে পরিকল্পনা করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে, জানিয়েছেন জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতির পরিচালক (অর্থ) মো. তোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, গত দুই বছরে প্রকাশকদের অবস্থা খারাপ হয়েছে। ফলে প্রস্তুতির সময় একটু রয়েসয়ে হিসাব-নিকাশ করে এগোলে ক্ষতি কম হবে। আবার মেলায় অংশ নিলে যেটুকু বিনিয়োগ করার সেটি না করেও উপায় থাকে না। সব মিলিয়ে একটু দ্বিধান্বিত থাকতে হচ্ছে বৈকি।

ওমিক্রন বাড়ছে, জনসমাগম না করতে ইতোমধ্যে নির্দেশনা এসেছে, তাহলে মেলা কী এবার হবে প্রশ্ন করা হলে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ বলেন, মেলা হবে না এখনো এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমরা দেইনি। স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সরকারের যে সিদ্ধান্ত আসবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত আমরা আশা করছি বইমেলা হবে।

সর্বশেষ - খবর

আপনার জন্য নির্বাচিত

“ ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজের চেয়ে ভূমিকম্পের পূর্বের প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”

বাউবিতে “Responsibility and Accountability” বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

কবে হবে ঈদুল আজহা, তারিখ ঘোষণা

মন্ত্রী ও মেয়রের উপস্থিতিতে ডিএনসিসির মশক বিরোধী ঝটিকা অভিযান

আশুলিয়া ও ভালুকা হতে বিপুল পরিমাণ জাল নোটসহ ৫ জন গ্রেফতার

আজ শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৬৮তম জন্মদিন

জনসংখ্যা ও সম্পদের সমন্বয় করে কাজ করছে সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

“ব্যাংকে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ” শীর্ষক ভার্চুয়াল কনফারেন্স

“আশুতোষ চক্রবর্ত্তী স্মারক শিক্ষাবৃত্তি – ২০২২”

ভর্তি ফি বেশি নেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম গঠন

ব্রেকিং নিউজ :