অলিদুর রহমান অলি, গাজীপুর মহানগর : ঢাকাস্থ শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতির উদ্যোগে সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ‘শিক্ষা উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল শনিবার (৮ এপ্রিল) ঢাকার পুরানা পল্টনস্থ পিকিং গার্ডেন রেস্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের নির্বাহী সদস্য কাজী মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি মাহমুদ শফিক।
আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ওয়াজেদ কামাল, ঢাকাস্থ শরীয়তপুর লেখক পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান গ্রামসি, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক আলতাফ হোসেন ছৈয়াল, সংগঠনের সহসভাপতি ও অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক বোরহান উদ্দীন, অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব শাহদাত হোসেন মুসা প্রমুখ।
বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও দি ডেইলি অবজারভারের নিউজ এডিটর সৈয়দ জহিরুল আবেদীন, দৈনিক সংবাদ মোহনা সম্পাদক ফকরুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক শিব শংকর মোদক, জাতীয় প্রেসক্লাব সদস্য হুমায়ুন মুজিব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় বসবাসরত শরীয়তপুরের সাংবাদিকদের ৬ জন ছেলেমেয়েকে এসএসসি, এইচএসসি ও ওলেভেলে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করায় বৃত্তি প্রদান করা হয়। ইফতারের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সংগঠনের সদস্য ৬০ জনেরও অধিক সাংবাদিক এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মাহমুদ শফিক তার বক্তৃতায় শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড কথাটিকে স্মরণে নিয়ে দেশের সাংবাদিক ও নীতিনির্ধারকদের কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি সংগঠনের শিক্ষাবৃত্তি প্রদানকে গঠনমূলক কার্যক্রম উল্লেখ করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন তার বক্তৃতায় সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করে একে একটি মডেল সংগঠনে রূপ দেওয়ার জন্য উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ওয়াজেদ কামাল শরীয়তপুরের স্কুল কলেজগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া শিক্ষার মান বজায় রাখা ও প্রশ্নপত্র ফাস প্রতিরোধ এবং নকলমুক্ত পরীক্ষা নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন এ ব্যাপারে সাংবাদিক সমাজকেও ভূমিকা পালন করতে হবে।
মিজানুর রহমান গ্রামসি তার বক্তব্যে ঢাকাস্থ শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতির গঠনমূলক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই সমিতি বিগত দিনে সদস্যদের জন্য দুইটি ট্রেনিং ও দুইটি ওয়ার্কশপ করেছে।
শরীয়তপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের উপস্থিতিতে ২০১৮ সালে মুক্তিযুদ্ধে শরীয়তপুর শীর্ষক আলোচনা, ভাষা আন্দোলনে শরীয়তপুর শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন, নরিয়ায় পদ্মানদীর ভাঙ্গন রোধে বিভিন্ন পর্যায়ে মতবিনিময় ও লিফলেট বিতারণ, রমজানে দরিদ্রদের মাঝে ইফতার বিতারণ, শরীয়তপুরের মুক্তিযুদ্ধের ওরাল হিস্ট্রি প্রকল্প গ্রহণ করেছে যা যুগান্তকারী কর্মসূচি।
তিনি এই ধারা অব্যাহত রেখে সংগঠনকে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে পরামর্শ দেন।
আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কলমের শক্তিতে বলীয়ান হয়েই সাংবাদিকদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।
বোরহান উদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমরা এই সংগঠনকে একটি আদর্শ ও শক্তিশালী সংগঠনে রূপ দিতে বদ্ধপরিকর।
দুলাল হোসেন ২০১৮ সালে উপদেষ্টাদের সম্মতিতে তৎকালীণ দুইটি সংঠনকে এক করে সমন্বিত কমিটি গঠনের ৩ মাস পরে যারা বিদ্রোহ করে ভিন্নপথে হাটে সেই ঘরের ছেলেদের ঘরে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানান।
