জবি প্রতিনিধি : দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে অন্য কেন্দ্রে আসন হওয়ার পরেও ভুলে ৮০ জন পরীক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার পেয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ১ টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের এ পরীক্ষা হয়।
মানবিক দিক দিয়ে এসকল পরীক্ষার্থীকে সুযোগ দেওয়া হয় বলে জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, অনেক শিক্ষার্থী ভুলে চলে এসেছে এখানে। যেহেতু ২২ টা বিশ্ববিদ্যালয় একই সাথে পরীক্ষা। তারা একটা মিস করলেই সবগুলো থেকে বাদ যাবে যেকারণে তাদের এই সুযোগটা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভুল করে আসা ৮০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে ক্যাম্পাসেই। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি রুমে সেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
এমন একজন ভুক্তভোগী নুসরাত ইমরোজ। তিনি পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের বাসিন্দা। নিকটবর্তী পরীক্ষার কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় তিনি এসেছিলেন এখানে। তিনি বলেন, কেন্দ্র নির্ধারণ করার সময় আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিয়েছিলাম তাই আর দেখা হয়নি কেন্দ্র কোন জায়গায়।
এমন আরেকজন পরীক্ষার্থী রাসেল হোসেন। তিনি বলেন, আমার বাসা পুরান ঢাকার নবাবপুর। তাই নিকটবর্তী কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে দেখি অন্য জায়গায় আমার সীট।
এদইকে পরীক্ষা শুরুর আধা ঘন্টা আগে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা থাকলেও পরীক্ষা শুরুর ১০-১৫ মিনিট পরেও পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। পুরান ঢাকার যানজটই তার কারণ। প্রশাসন থেকে নানাবিধ নির্দেশনা থাকলেও তা কোন কাজে আসেনি।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা ট্রাফিক পুলিশকি আগেই জানিয়ে রেখেছিলাম তারাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে কিন্তু পরীক্ষার্থী ও গার্ডিয়ানের চাপে যানজট বেশি হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.ইমদাদুল হক বলেন, ‘গতবারে আমাদের আসন নিয়ে যে সমস্যাগুলো হয়েছিল, এবারে কষ্টের বিনিময়ে হলেও আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছি। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নটরডেম কলেজ সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে আমরা পরীক্ষা নিয়েছি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন নির্ধারিত ৬৪ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। শিক্ষার্থীরা কিছু ভুল করেছে কিন্তু আমরা সুযোগ দিয়েছি। ঢাকার বাইরে অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতে খবর নিয়েছি। সুষ্ঠু পদ্ধতিতে পরীক্ষা সংঘটিত হয়েছে।’