* রাজধানীর বেশির ভাগ দোকানে নেই তেল
* বর্ধিত মূল্য দিয়েও তেল পাচ্ছে না ভোক্তারা
* পরিস্থিতির জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ি করছেন সংশ্লিষ্টরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা প্রতিদিন : সোনার হরিণ হয়ে উঠেছে সয়াবিন তেল। যেন হাত দেওয়া দায়। রেকর্ড পরিমাণ দাম বৃদ্ধি পেয়েও বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট যেনো থামছেই না। বোতলজাত সয়াবিন তেলের ভোক্তা পর্যায়ে নির্ধারিতদাম হচ্ছে ১৯৮ টাকা। কিন্তু এই বর্ধিত মূল্য দিয়েও তেল পাচ্ছে না ভোক্তারা। এদিকে সয়াবিন তেলের এমন দুষ্প্রাপ্যতার বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরাও চিন্তিত। তারা বলছেন, তারা অর্ডার দিয়েও চাহিদামতো তেলের সরবরাহ পাচ্ছেন না।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ দোকানেই তেল নেই। যদিও কিছু দোকানে তেল পাওয়া যাচ্ছে, তাতেও তারা সরকার নির্ধারিত দামের চাইতে বেশি চাচ্ছে।
ফলে এখন ‘মরার উপরে খারার ঘাঁ’-এর মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দোকানিরা বলছেন, বাজারে তেলের সরবরাহ কম। বোতলজাত সয়াবিন সরবরাহ করা হচ্ছে না। বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো চাহিদামতো সরবরাহ না করায় সয়াবিন তেলের এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা দাবি করছেন।
রাজধানীর মিরপুরে জোনায়েদ জেনারেল স্টোরের মালিক মোহর মিয়া বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদামতো তেল দিচ্ছে না। কয়েকটি ব্র্যান্ডের ডিস্ট্রিবিউটররা তাদের অন্য পণ্যের অর্ডার নিলেও সয়াবিন তেলের অর্ডার নিচ্ছেন না।
ক্রেতারা বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। তার মধ্যে নতুন করে সয়াবিন তেলের দামবৃদ্ধি করেছে সরকার। তবু বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না তেল। এর জন্য মূলত দায়ী সিন্ডিকেট। তারা আরো বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্য বাড়ার এই অস্বাভাবিক অবস্থায় দিশাহারা মানুষ। তারপরও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েই চলেছে।
সবকিছুর দাম বাড়লেও বাড়ছে না কেবল মানুষের আয়। এ অবস্থায় শহুরে জীবনে টিকে থাকা দায় হয়েছে। এই অবস্থায় ভালো নেই মধ্য আয়ের কর্মজীবী মানুষ। এরাই এখন সবচে দুঃসময়ে।
এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় প্রতিদিনই অভিযানে নামছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। কিছু জায়গায় সয়াবিন তেলের মজুত পাওয়া গেলেও সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় কম। এই অবস্থায় সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ক্রেতারা।